আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের নামে নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের অভিযোগ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় রাস্তায় টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা। রবিবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে আটঘরিয়া বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বাজার হতে আটঘরিয়া থানা প্রদক্ষিণ করে আবারও বাজারে এসে শেষ হয়। এরপর বাজারের বটতলায় অবস্থান নিয়ে মামলার প্রতিবাদে বক্তব্য দেন, আটঘরিয়া উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন ও উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আ. লীগের একাধিক নেতা।
বক্তারা বলেন, আটঘরিয়ার মানুষ বিপুল ভোটে তানভীরকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তিনি সজ্জন বলেই মানুষ তার প্রতি এ ভালবাসা দেখিয়েছেন। অথচ একজন আসামির অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অথচ যারা নির্বাচনের আগে থেকেই সহিংসতা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এদিক থেকে আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাদিউল ইসলামের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তারা জানান, আটঘরিয়া শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় তার ভূমিকা নেতিবাচক। সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে উপজেলা চেয়ারম্যান তানভীরের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন তিনি। অথচ চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও সহিংসতা রোধে তার কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এতে আটঘরিয়া ভীতির এলাকায় রুপ নিয়েছে। সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নেয়া ওসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এক্ষেত্রে দ্রুত এই ওসির অপসারণ দাবি করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বিকেলে তানভীরের নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের আটঘরিয়া বাজারের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গত ৮ জুন কামালের সমর্থক জুয়েল বাদী হয়ে তানভীরকে প্রধান আসামি করে কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করা হয়।