বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

পদ্মা-যমুনার পানি স্থিতিশীল, আতংকের কিছু নেই -পাউবো

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনামেইল টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিলেও পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়েনি। স্থিতিশীল রয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে ও যমুনা নদীর বেড়া উপজেলার মথুরা পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে দুই পয়েন্টের পানি স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করে এ নিয়ে আতংকের কিছু নেই বলে দাবি পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের।

পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিডার হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম বুধবার বিকেলে জানান, গত ২৬ আগস্ট থেকে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পদ্মার পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। গত দুইদিনে এখানে পানির উচ্চতার পরিমাণ করা হয় ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। গত ২৫ আগস্ট এ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৯৭ মিটার। অন্যদিকে বেড়া উপজেলার যমুনা নদীর মথুরা পয়েন্টে পানির স্তর ৭ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। গত কয়েকদিনে এখানেও পানি পরিমাণ স্থির অবস্থায় রয়েছে।

তিনি আরো জানান, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খোলা থাকলেও হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে নদীর পানি এখনো বৃদ্ধি পায়নি। গত তিনদিন ধরে স্থির রয়েছে। তাছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এখানে পানির উচ্চতা এক সেন্টিমিটার কম বেশি হয়েছে।

পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, শুনেছি ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে। এতে শংকা ও আতংকের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু সকালে নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে আসলে পানি বাড়ার তেমন লক্ষণ দেখি নাই।

ঈশ্বরদীর লক্ষীকুন্ডা পদ্মা নদী পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল বারেক বলেন, ভারত সব গেট খুলে দিয়েছে শুনে আমরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। কারণ আমাদের এখানে ইতিপূর্বে বহু ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আবার নদী ভাঙনের কবলে অনেকে এখন অন্য জায়গায় চলে গেছে। পরদিন তেমন কোন পানি বাড়ার লক্ষণ দেখি নাই।

এদিকে বেড়া উপজেলার কাজিরহাট ঘাট এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে গত দুইদিন হলো পানি কমতে শুরু করেছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিলেও এখনো পর্যন্ত হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পদ্মার পানি বাড়েনি। এ পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৮০ মিটার। এখন পানির উচ্চতা ১১ দশমিক ৯৮ মিটার। বিপদ সীমার অনেক নিচে দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়া হলেও পাবনা অঞ্চলে বন্যার আশংকা নেই। কারণ যমুনার পানি যখন কমে, তখন পদ্মার পানি বাড়ে। একই সময়ে যমুনার পানি কমলে এবং পদ্মার পানি বাড়লে বন্যা হবে না। এখন যমুনার পানি দ্রুত কমছে। সুতরাং বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে আমাদের বিশ্বাস।

পানি যদি বিপদসীমা ১৩ দশমিক ৮০ অতিক্রম করে এবং ১৫ বা ১৬ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় তখন বাঁধের জন্য ঝুঁকি হতে পারে। তবে পাবনা জেলায় বাঁধ ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া নীচু এলাকা প্লাবিত হবে এাঁ স্বাভাবিক বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো খবর..