পাবনার সুজানগরে দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচূরের ঘটনায় বাচ্চু আলমগীর ওরফে আগুন বাচ্চু নামে যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট এলাকার একটি আবাসিক বোডিং থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সোমবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।

বাচ্চু আলমগীর ওরফে আগুন বাচ্চু (৩৪) সুজানগর পৌরসভার মসজিদপাড়া এলাকার লোকমান হোসেন প্রামানিকের ছেলে। বাচ্চু এলাকায় যুবলীগের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। এই যুবলীগ কর্মী পৌর আওয়ামীলীগ এর শীর্ষ নেতাদের আস্থাভাজন ক্যাডার হিসেবে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে। তার ছোট ভাই সুজানগর এন এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেদোয়ান নয়ন।

তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট এলাকার একটি আবাসিক বোডিং থেকে বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে সুজানগর পৌরসভার মানিকদীর পালপাড়া এবং তারও তিন দিন আগে পৌরসভার নীশিপাড়া দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পাবনার পুলিশ সুপার এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেন।

পাবনা পুলিশ সুপার মো. মোরতাজা আলী খান সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টির নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা পুলিশের সহায়তায় রোববার বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিমা ভাঙচুরের পরপরই মানিকদীর (পালপাড়া) মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী বিজন কুমার পাল বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি মামলা করেন। নিশীপাড়া ও পালপাড়া এলাকায় দুটি দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গত বুধবার প্রত্যাহার করা হয় সুজানগর থানার ওসি সাকিউল আযমকে। পরে উপজেলার কামালপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (ইনচার্জ) আইসি গোলাম মোস্তফাকে সুজানগর থানার নতুন ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়।